বিরোধী দলগুলোর দাবি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জ্যামাইকা ভ্রমণ তদন্ত না করার কথা জানিয়েছেন এথিকস কমিশনার। বিরোধী দলগুলোর দাবি, বন্ধুর কাছ থেকে হলেও ব্যয়বহুল ভ্রমণ উপহার হতে পারে না।
কনরাড ভন ফিঙ্গেনস্টাইন হাউস অব কমন্সের এথিকস কমিটিকে ৩০ জানুয়ারি জানিয়েছেন, বিষয়টির এখানেই সমাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি।
কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট অ্যাক্টের আওতায় ভন ফিঙ্কেনস্টাইন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে পারেন না। কিন্তু তিনি বলেন, জ্যামাইকায় ট্রুডোর অবস্থান গ্রহণযোগ্য। কারণ, এটা এসেছে তার একজন বন্ধুর কাছ থেকে, যার সঙ্গে তার রয়েছে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
অন্তবর্তীকালীন এথিকস কমিশনার বলেন, ট্রুডোর ভ্রমণ যদি অগ্রহণযোগ্য হতো তাহলে তা কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকত। কিন্তু সেখানে এমন কিছু নেই।
এ মাসের গোড়ার দিকে ট্রুডোর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল, পরিবারের এই অবস্থানের জন্য কোনো খরচ হয়নি।
ভন ফিঙ্কেনস্টাইন বলেন, এর বেশি বলার কিছু নেই। অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে তা প্রকাশ করা উচিত ছিল। আমাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা পরামর্শ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই পরামর্শ গ্রহণ করেছেন এবং তা অনুসরণ করেছেন। তিনি বা তার মুখপাত্র প্রকাশ্যে কী বলছেন তাতে আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এবং এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট অ্যাক্টে নথি দ্বারা প্রমাণিত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে এমন আত্মীয় অথবা পারিবারিক বন্ধুদের কাছ থেকেই কেবল রাজনীতিকদের উপহার নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের শেষ দিকে ট্রুডো যখন আগা খানের আতিথেয়তা নেন তখন এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন।
সোহেলি আহমেদ সুইটি
সৌজন্যে: Chef Platters | সেফ প্লাটার্স, ভেনকুভার, বৃটিশ কলম্বিয়া, কানাডা