দীর্ঘ দেড় মাসের লড়াই শেষ আজ মাঠ গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের ফাইনালের মহারণ। ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মহারণের এই লড়াইয়ে নিশ্চিতভাবেই কয়েকজন ক্রিকেটারদের দিকে পাখির চোখ থাকবে সবার। যারা পাল্টে দিতে পারেন ম্যাচের সমীকরণ।
প্রতিবারের মতো এবারের আসরেও দারুণ দল গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের শিবিরে সবচেয়ে বড় তারকার নাম তাওহীদ হৃদয়। প্রথম দিকে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও মাঝের সময় থেকে ঝড় তুলে দলকে ফাইনালে নিয়ে আসার বড় কৃতিত্ব তাওহীদের। এখন পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে এক সেঞ্চুরিতে ৪০.৬৩ গড়ে ৪৪৭ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান। স্ট্রাইক রেটে ১৪৯.৪৯।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিকেটার ধরা হয় আন্দ্রে রাসেলকে। কুমিল্লার গেলবারের শিরোপা জয়ের পেছনেও তার অবদান ছিল। এবারও দেখিয়েছেন ক্যামিওর ঝলক। ফাইনালেও চোখ থাকবে তার দিকে। মঈন আলী এখন পর্যন্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় হিসেবে খ্যাতি থাকা মঈনের দিকেও আজ চোখ রাখতে হবে।
লিটন দাস আসরে নিজের নামের সুবিচার করতে না পারলেও প্লে-অফে এসে দেখিয়েছেন ঝলক। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলেছেন ৫৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রানের ইনিংস। ফাইনালেও অধিনায়কের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। তাছাড়া আজ ফিরতে পারেন দলের গুরুত্বপূর্ণ বোলার মোস্তাফিজ। শেষ দিকে ম্যাচের বাক বদলে দিতে পারেন এই বাঁহাতিও।
বরিশালের দিকে তাকালে নিঃসন্দেহে তাদের সবচেয়ে বড় তারকার নাম তামিম ইকবাল। নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতেও সমানে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন বরিশাল অধিনায়ক। আসরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। ১৪ ম্যাচ খেলে ৪৫৩ রান করেছেন তামিম। ব্যাটিং গড় ৩৪.৮৪, স্ট্রাইক রেট ১২৫.৪৮। ফাইনালেও তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বরিশালের সমর্থকরা।
কাইল মায়ার্স বরিশাল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ব্যাটে-বলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন। এই অলরাউন্ডার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে ওস্তাদ। আসরে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে এক ফিফটিতে ১৯৭ রান করেছেন মায়ার্স। সেই সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ফাইনালেও তার দিকে নজর থাকবে দর্শকদের।
ডেভিড মিলার এই আসরে খেলেছেন সর্বসাকুল্যে ২ ম্যাচ। আর এই ২ ম্যাচেই সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। তবে ব্যাট হাতে নিজের চেনা রূপ দেখাতে পারেননি। এলিমিনিটের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান ১৭ রানে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটিতে দলের জয় সঙ্গে নিয়েই ফেরেন অপরাজিত ২২ রান করে। ফাইনালে মিলারের ‘কিলার’ রূপ দেখার অপেক্ষায় দর্শক।
সাইফুদ্দিন এবারের আসরে বরিশালের জার্সি গায়ে দারুণ করছেন। শুরুর স্পেল কিংবা ডেথ ওভারে অধিনায়কের আস্থার জায়গা হয়ে উঠছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। রান খরচের দিক দিয়েও দেখিয়েছেন কিপটেমি। ব্যাট হাতে ৪ ম্যাচে করেছেন ৬৩ রান। এর মধ্যে তিন ম্যাচেই ছিলেন অপরাজিত। ফাইনালেও আরেকবার এই অলরাউন্ডারের দিকে তাকিয়ে দল।