Illegal Trade Business of Crores of BDT Monthly in One Route of Chittagong
চট্টগ্রামের এক রুটেই মাসে কোটি টাকার চাঁদা বানিজ্য
বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত রিপোর্ট ”এক রুটে কোটি টাকা চাঁদাবাজি” শিরোনামে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরে নিবন্ধনহীন, ফিটনেসবিহীন, নিলামে কেনা ও চোরাই যানবাহন চলাচল বেড়েই চলেছে। অবৈধ এসব গাড়ি চলাচলের জন্য নিজেরাই সৃষ্টি করেছে অবৈধ রুট (লাইন)। প্রশাসনের অনুমোদনহীন এসব রুটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত-শত অবৈধ যানবাহন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে অন্তত ৫৫টি অবৈধ যানবাহনের রুট রয়েছে। যেগুলোতে গ্রামে চলাচলের জন্য নিবন্ধিত ও অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত টমটম চলাচল করছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে এলাকার সন্ত্রাসীসহ একটি চক্র। আর এসব রুটে চলাচলরত যানবাহন থেকে মাসে ৫ লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত চাঁদাও তোলা হচ্ছে। আর লাইন নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে প্রায় ঘটছে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা। এতে আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটছে নিহতের ঘটনাও।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিন ধরনের গণপরিবহনের জন্য ৫৮টি অনুমোদিত রুট আছে। এর মধ্যে অটো টেম্পোর রুট ২২টি, হিউম্যান হলারের রুট ১৮টি ও বাস-মিনিবাসের রুট আছে ১৮টি। এসব অনুমোদিত রুটের বাইরে আরও ৫৫টি অবৈধ রুট সৃষ্টি হয়েছে। এসব রুটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন।
শুধু যে অবৈধ রুট ঘিরে সড়কে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে তা নয়; বৈধ রুটকে ঘিরেও চলছে নানা অনিয়ম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারি হয়ে বারেক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত অটো টেম্পোর একটি মাত্র রুট। অথচ এ একটি রুটে ইচ্ছে মতো দূরত্বে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে অক্সিজেন থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত হয়েছে একটি রুট। এরপর মুরাদপুর থেকে কোতোয়ালি পর্যন্ত চলছে ম্যাক্সিমা গাড়ি। চকবাজার থেকে বারেক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত চলছে টেম্পো। একই অবস্থা নগরীর সবকটি সড়কে।
নগরীতে বৈধ রুটগুলোতে ত্রুটিপূর্ণ এবং রুট পারমিট ছাড়াই চলাচল করছে ৮০০ গণপরিবহন। সম্প্রতি নগর ট্র্যাফিক পুলিশের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে রুট পারমিটবিহীন টেম্পো চলাচল করছে ৫৬১টি, হিউম্যান হলার ৪৫টি এবং বাস-মিনিবাস চলাচল করছে ২০০টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ যানবাহন এবং অবৈধ গাড়ির রুট নগরজুড়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। গাড়ির চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি সৃষ্টি করছে অসহনীয় যানজট। চট্টগ্রামে সড়কে আরেক সমস্যা হয়ে উঠছে অবৈধ ব্যাটারি রিকশা। নগরীতে ৫০ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এত দিন এসব রিকশা নগরীর অলিগলিতে চলাচল করলেও সম্প্রতি মূল সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
অবৈধ রুট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ
অবৈধ রুট নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে নগরীতে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটছে নিহতের ঘটনাও। সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ লাইন নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে নগরীর খুলশী থানাধীন ঝাউতলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. বেলাল (৩২)। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বেলাল নগরীর খুলশী থানাধীন ঝাউতলা এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। টাইগারপাস মোড় থেকে ঝাউতলা বটগাছ পর্যন্ত অবৈধভাবে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশার লাইন নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্বজনরা মামলা করেছে খুলশী থানায়। গাড়ির অবৈধ লাইন নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরীতে এটিই প্রথম কোনও হতাহতের ঘটনা নয়। এর আগেও ঘটেছে একাধিক হতাহতের ঘটনা। এতে আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
নুরুল আলম নামে এক চালক জানিয়েছেন, নগরীর টাইগারপাস মোড় থেকে ঝাউতলা বটগাছ পর্যন্ত অবৈধভাবে গ্রামে চলাচলের জন্য নিবন্ধিত সিএনজি চালিত অটোরিকশার লাইন তৈরি করা হয়েছে। এ লাইনে অন্তত ৩০০টি গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিটি গাড়ি লাইনে তালিকাভুক্ত করতে তিন হাজার টাকা, মাসে এক হাজার টাকা এবং দৈনিক ২৫ টাকা করে নিচ্ছেন লাইন নিয়ন্ত্রণকারীরা। এ লাইনে চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেকে মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। ওই টাকার লোভে লাইন নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে ওঠে এলাকার কয়েকটি গ্রুপ। এর জের ধরেই গত ২৭ জানুয়ারি খুন হন বেলাল। এরপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। এখনও এ অবৈধ লাইনে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহনগুলো।
টোকেনে চলে অবৈধ রুট
নগরীতে অবৈধ রুটগুলোতে টোকেনের মাধ্যমে যানবাহনগুলো চলাচল করছে। টোকেনগুলো সরবরাহ করে অবৈধ রুট নিয়ন্ত্রণকারীরা। একেকটি রুটে টোকেনের দাম একেক রকম। বিভিন্ন অবৈধ রুটের গাড়ি চালক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে কুয়াইশ মোড় পর্যন্ত চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা এবং দৈনিক ৩০ টাকা, নতুন ব্রিজ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেওয়া হয় মাসে ১ হাজার টাকা করে এবং দৈনিক ৩০ টাকা করে। কর্ণফুলী মইজ্যারটেক থেকে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং দৈনিক ৩০ টাকা করে নেওয়া হয়। চকবাজার থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত চলাচল করছে টমটম। এ রুটে অন্তত ৪০০ টমটম চলাচল করছে।
চালকরা জানিয়েছেন, লাইনে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ৩ হাজার টাকা এবং মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে হয় লাইন নিয়ন্ত্রণকারীদের।
নগরীর কয়েকটি বড় অবৈধ রুট আছে এর মধ্যে অন্যতম কাপ্তাই রাস্তার মাথা। নগরীর প্রবেশদ্বার কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, কাপ্তাই, বোয়ালখালী ও পটিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাত্রী আনা নেওয়া করা হয় এ মোড় থেকে। অন্তত সাত হাজারের বেশি সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে রাস্তার মাথা মোড় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আসা-যাওয়া করছে। শুধু এ রুট থেকে মাসে কোটি টাকা আদায় করে লাইন নিয়ন্ত্রণকারীরা। এ লাইনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে সংঘাত-সংঘর্ষ।
নুরুল হক নামে রাউজান উপজেলার এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, রাস্তার মাথা থেকে যাত্রী আনা-নেওয়া করলে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকার টোকেন নিতে হয়। এরপরও যতবার যাত্রী নেওয়া হয়, ততবারই ১০ টাকা করে দিতে হচ্ছে লাইন নিয়ন্ত্রণকারীদের। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এ টাকা আদায় করলেও ভাগ পায় অনেকেই।
এ চালক আরও বলেন, নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে মাসিক টোকেন না নিলে গ্রামের সিএনজি শহরে প্রবেশ করার অপরাধে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়। এতে পরিবহন আইনে মামলা দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ি জব্দ পর্যন্ত করা হয়। টোকেন নিলে প্রশাসনের হয়রানি মুক্ত থাকা যায়।
এ প্রসঙ্গে রাস্তার মাথা এলাকায় দায়িত্বরত সিএমপির ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান রাজ বলেন, ‘গ্রাম সিএনজি অটোরিকশাগুলো রেলবিট অতিক্রম করলেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে ২৫০ থেকে ৩০০টি সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। জব্দ করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে এ অভিযান চলছে।’
টোকেন দিয়ে গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চলছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ট্র্যাফিক পুলিশের নয় জানিয়ে কামরুজ্জামান রাজ বলেন, ‘টোকেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে এটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি ট্র্যাফিক পুলিশের দেখার বিষয় নয়। ফৌজদারি অপরাধের বিষয়গুলো থানা পুলিশ দেখবে।’
এ প্রসঙ্গে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘শুধু গ্রাম সিএনজি অটোরিকশাই নয়, কোন গাড়ি কোথায় চলবে, তা দেখভালের দায়িত্ব ট্র্যাফিক বিভাগের। ট্র্যাফিক কর্মকর্তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। তবে টোকেনের মাধ্যমে রাস্তারমাথা এলাকায় গাড়ি চলছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
এক থানা এলাকায় ১৫ অবৈধ রুট
শুধু নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় আছে ১৫টি অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার লাইন। যেগুলো এলাকার সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এরমধ্যে আতুরার ডিপো থেকে হাজি পাড়া, আতুরার ডিপো থেকে নয়াহাট, আতুরার ডিপো থেকে ছালিয়াতলী, অক্সিজেন থেকে নয়াহাট, অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ মোড়, শেরশাহ বাংলাবাজার মোড় থেকে জামতলা বাজার, টেক্সটাইল মোড় থেকে চন্দ্রনগর চৌধুরীনগর, টেক্সটাইল মোড় থেকে ছিন্নমূল, বায়েজিদ থানার সামনে থেকে টেক্সটাইল, টেক্সটাইলের মোড় থেকে আরেফিন নগর, বাংলাবাজার থেকে লিংক রোড, লিংক রোড থেকে ফৌজদারহাট, পলিটেকনিক্যাল মোড় থেকে সিভাসু মোড়, রুবি গেইট থেকে হামজারবাগ, বায়েজিদ থানার সামনে থেকে আমিন জুট মিল পর্যন্ত এবং অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত সড়কে গ্রামের জন্য নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশাগুলো গত কয়েক বছর ধরে অনায়াসে চলাচল করছে।
এ প্রসঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘কোন গাড়ি কোথায় চলে কিংবা চলবে তা দেখভালো করে ট্র্যাফিক বিভাগ। বায়েজিদ এলাকায় যেসব গাড়ি চলে, সেগুলো কীভাবে চলে, তা ট্র্যাফিক বিভাগই বলতে পারবে। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর পাঁচটি স্থানে অভিযান চালিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ে জড়িত ৩০ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারদের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় রিয়াদ ও বখতিয়ার উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসিক এক হাজার টাকা করে চার লাখ টাকা আদায় করে। ওই চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা ও আবুল হোসেন নামের ব্যক্তির কাছে জমা করতেন।
র্যাবের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, নগরীর চান্দগাঁও থানার বালুর টাল এলাকায় রুবেল ওরফে ইয়াবা রুবেল এবং মিজানের নেতৃতে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ৬ ফেব্রুয়ারি চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রতিদিন ৩০ টাকা করে আনুমানিক ২০০টি ট্রাক থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। চাঁদার টাকা সবুর ও শফিক নামে দুই ব্যক্তির কাছে জমা করতেন।
তবে ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ রুট গড়ে উঠেছে’ মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীর অটোরিকশা-অটোটেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক টিটু চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর ১৬টি থানা এবং ৪১টি ওয়ার্ডে অন্তত ৫০টির বেশি অবৈধ গাড়ির লাইন আছে। এসব লাইনে গ্রামের জন্য নিবন্ধিত, অবৈধ এবং চোরাই সিএনজি অটোরিকশা প্রকাশ্যে চলাচল করছে। এ ছাড়া চলছে ব্যাটারিচালিত টমটম। চলছে অসংখ্য রুট পারমিট বিহীন ম্যাক্সিমা গাড়িও। এসব গাড়ি নগরীতে যানজট বাড়াচ্ছে। পরিবহনে শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় থানা এবং ট্র্যাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব গাড়ির অবৈধ লাইন গড়ে উঠেছে। নগরীতে অবৈধ গাড়ির লাইন এবং অবৈধ নিবন্ধনহীন যানবাহন বন্ধে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেছি। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি সিএমপি কমিশনার বরাবরে চিঠি দিয়ে অবৈধ যানবাহন বন্ধের আবেদন করেছি।’
চট্টগ্রাম বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো সার্কেল-১-এর উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) তৌহিদুল হাসান বলেন, ‘গ্রামের জন্য নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশাগুলো কোনোভাবেই শহরে প্রবেশ কিংবা চলাচল করতে পারবে না। গ্রাম সিএনজি অটোরিকশাগুলো শুধু গ্রামেই চলাচল করবে। গ্রামের সিএনজিগুলো শহরে চলাচল করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ট্র্যাফিক পুলিশ।’
সিএমপির ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন-উত্তর) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গ্রামের জন্য নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করলেই আমরা মামলা দিচ্ছি। কোনও কোনও সময় জব্দও করা হয়। তবে দীর্ঘদিন রাখার মতো সিএমপিতে ডাম্পিং স্টেশন নেই। এ কারণে জরিমানা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে এরপর আবার ঢুকছে।’
শহরের মধ্যেও কিছু কিছু রুটে গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্র্যাফিক পুলিশের অবস্থান হচ্ছে মূল সড়কে। অলিগলিতে আমাদের তেমন অবস্থান নেই। যে কারণে এ সুযোগ নিচ্ছে গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাগুলো। ট্র্যাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অলিগলিতে সিএনজি অটোরিকশাগুলো চলাচল করছে।’