সিটি হলে অনিয়মের বার্ষিক নিরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক জালিয়াতি ও অপচয়ের অভিযোগ উল্লেখ করেছেন টরন্টোর অডিটর জেনারেল। এর ফলে কয়েকজন সিটি কর্মীরা বরখাস্ত করা হয়েছে।
অডিটর জেনারেলের কার্যালয় গত বছর হটলাইনের মাধ্যমে ১ হাজার ৫৪টি আপত্তি পায়, যেখানে অভিযোগ ছিল ১ হাজার ৪৫০টি। ২০০২ সালে কর্মসূচিটি শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিযোগ।
টরন্টোর কাউন্সিলর জশ ম্যাটল বলেন, টরন্টোর করদাতাদের প্রতারিত করা ও অর্থ অপচয় আমরা আক্ষরিক অর্থেই মেনে নিতে পারি না। প্রতিটি ডলার যাতে এই নগরীর লোকদের অগ্রাধিকারে ব্যয় হয় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জালিয়াতির এই অভিযোগে মিউনিসিপাল কর্মী, বাসিন্দা এবং সিটি হলের সঙ্গে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোকে জড়িত বলে দেখানো হয়েছে। একটি ঘটনায় একটি বিল্ডারের বিরুদ্ধে টরন্টো বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের নকশা অণুমোদন ছাড়াই ম্যানশন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
অডিটর টারা অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, বাড়িগুলোর মধ্যে একটির আয়তন ৬০০ বর্গমিটারের বেশি এবং সেখানে একটি বাস্কেটবল কোর্ট ও ছয়টি গাড়ি রাখার মতো আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং রয়েছে। সঠিক অনুমোদন ছাড়াই উভয় বাড়ির সামগ্রী পরিবর্তন করেছে নির্মাতা। এ থেকে এই ধারণা তৈরি হয় যে, অন্যান্য বাড়িও বিধি অনুসরণ নাও করতে পারে।
প্রতারণার আরেকটি ঘটনায় এক সিটি কর্মী একটি সাবকন্ট্রাক্টিং কোম্পানির মালিক বলে জানা যায়। অন্তত চারটি ক্ষেত্রে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আইন ভেঙে কোম্পানিটি মিউনিসিপাল কাজ পেয়েছে। একজন নাগরিকের বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ৬১ হাজার ডলারের জালিয়াতিপূর্ণ ৩১টি ভর্তুকি নেওয়ারর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি টরন্টো পুলিশের কাছে পাঠিয়েছেন অডিটর।
সব মিলিয়ে গত বছর এক ডজনের মতো সিটি কর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপচয়ের অভিযোগে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অসুস্থ্যতাজনিত ছুটি নিয়ে আরেকটি চাকরি করার ঘটনায় এক কর্মীকে বরখাস্তও করা হয়েছে।
আরেকজন সিটি কর্মী ৩৩টি ঘটনায় বেনিফিট চেয়ে ভুয়া আবেদন করেন, যেখানে তিনি কোনো সেবাই দেননি। ওই কর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে এবং সিটিতে এখন কাজ করার অযোগ্য তিনি।
অডিটরের হিসাবে গত পাঁচ বছরে জালিয়াতি ও অপচয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলার। অডিট কমিটির সদস্য পাওলা ফ্লেচার বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি ডলার জরুরি। আমাদের এটা বলা দরকার যে, তুমি যদি আইন ভঙ্গ কর তাহলে আমরা তোমাকে পাকড়াও করব।
সৌজন্যে: Chef Platters | সেফ প্লাটার্স, ভেনকুভার, বৃটিশ কলম্বিয়া, কানাডা