জনস্বার্থপরিসেবারেলপথ

‘Agriculture Special Train’ Left Station without Goods

ব্যবসায়িদের অনীহা! পণ্য ছাড়াই স্টেশন ছেড়ে গেল ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’

কম খরচে কৃষকের উৎপাদিত শাকসবজি পরিবহনের জন্য কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও সবজি ছাড়াই শূন্য লাগেজে স্টেশন ছাড়ল ট্রেনটি। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের তেমন আগ্রহ না থাকায় প্রথম দিনেই শূন্য লাগেজ ভ্যান নিয়েই ছুটতে হলো ট্রেনটিকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে বিশেষ এই ট্রেনে রয়েছে সাতটি বগি (লাগেজ ভ্যান)। তার মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে একটি, বাকি ছয়টি সাধারণ বগি। অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে কৃষিপণ্যের মধ্যে ফল, সবজি ছাড়াও রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ঢাকায় যাওয়ার জন্য অন্তত ২০টি চেয়ার রয়েছে। সবজির সঙ্গে তাদের বিনা ভাড়ায় যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। পণ্য পরিবহণে ভাড়া কেজিপ্রতি ১ টাকা ৫৬ পয়সা। এর সঙ্গে মাঠ থেকে স্টেশন, স্টেশন থেকে মোকাম আলাদা পরিবহন খরচ ও কুলি খরচ মিলে প্রতিকেজির খরচ দাঁড়ায় ৩ টাকারও বেশি। অন্যদিকে ট্রাকে মালামাল পরিবহনের খরচ হয় দুই থেকে আড়াই টাকা। ফলে ট্রেনে সাড়া মিলছে না ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল ভাড়া কম থাকলেও কুলি ও অন্যান্য পরিবহন খরচ মিলে সড়কপথের চেয়ে ট্রেনে খরচ পড়ছে বেশি। আরেকদিকে ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় বাজারজাত নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। তবে বিকেল কিংবা রাতে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে দিনের কৃষিপণ্য তুলে রাতভর পরিবহন করে সকালে মোকামে পৌঁছনো যায়। এ ছাড়া ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়সহ নানা কারণে সময়মতো মালামাল পৌঁছাতে না পারলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে প্রথম দিনে শাক-সবজি ছাড়াই ট্রেনটিকে শূন্য লাগেজ ভ্যান নিয়েই ছুটতে হয়েছে ঢাকার দিকে।

আব্দুল জলিল নামের এক কাঁচামাল ব্যবসা এই প্রতিবেদককে জানান, ট্রেনের মূল ভাড়া কম। তবে ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকাম আলাদা যানবাহনে পরিবহন করতে বাড়তি খরচ রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনে মালামাল তোলা ও নামাতে কুলিদের অনেক টাকা দিতে হয়। কুলিরা যে যার ইচ্ছেমতো টাকা নেয়। এতে দেখা যাচ্ছে সড়কপথে পঞ্চগড় থেকে ঢাকার বাজারে পণ্য পাঠাতে খরচ হয় প্রতি কেজির মালের জন্য দুই থেকে আড়াই টাকা। অন্যদিকে ট্রেনে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে যাচ্ছে তিন টাকারও বেশি। তার সঙ্গে আছে ভোগান্তি। তাই কেউ ট্রেনে পণ্য পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

পঞ্চগড় রেলস্টেশনের মাস্টার মাসুদ পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কম খরচে কৃষকের উৎপাদিত শাকসবজি পরিবহনের জন্য কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় এ ট্রেনটি পঞ্চগড় ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি যাত্রাপথে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও গাজীপুর হয়ে বিভিন্ন স্টেশনে থেমে রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ট্রেনটির শীতাতপসহ ৫টি লাগেজ ভ্যান রয়েছে। প্রতিকেজি মালামাল ঢাকায় পরিবহন করতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। তবে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্রেনের তুলনায় তারা কম খরচে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করতে পারছেন। এই কারণে আগ্রহ কম। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।

Md. Hamidur Rahman

I'm Human, Content creator, Founder Editor at cnewsTODAY, Entrepreneur at Dialme Today, Interact with Mass People, Let's ROAR for SUN: Reach-out, Act and Responds for SUN- Sustainable United Network. For Personal & Business Branding, Press Release & Guest Column just say hello to 01751744130 or Email me to hamidurucep@gmail.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button