Metro-rail: Reduced Traffic Congestion, Bus Passenger Shortage, Transport Profession under Threat
মেট্রোরেল: কমেছে যানজট, বাসে যাত্রী সংকট, হুমকিতে পরিবহন পেশা
মেট্রোরেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাজধানী ঢাকা শহরের চিরচেনা যানযট কমতে শুরু করেছে।প্রতিদিনের দু:সহ যানজট থেকে মুক্তি পেতে যাত্রীরা মেট্রোরেলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্যস্ততম শহরে মেট্রোরেলে ভ্রমন সময় সাশ্রয়ী, যানজটমুক্ত যাতায়াত ও ব্যয় কম হওয়ায় কর্মজীবি, চাকরীজীবি,ব্যবসায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীরাও ব্যবহার করছে মেট্রোরেল।
ঢাকার যোগাযোহ ব্যবস্থায় মেট্রোরেলের প্রভাব পড়েছে মতিঝিল, কাওরান বাজার, পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা,ফার্মগেট সহ অন্যান্য এলাকায়।
দিনভর মেট্রোরেলের সিডিউল ও সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ঢাকা শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলো মতিঝিল,আগারগাঁও,মিরপুর ও কারওয়ান বাজার অনেকটাই ফাঁকা। সংশ্লিষ্ট বাসস্ট্যান্ড গুলোতে যাত্রীর ভিড় নেই বললেই চলে। অথচ মেট্রোরেল চালু হওয়ার আগে এসব রুটে গাদাগাদি করে যাত্রীদের বাসে চলাচল করতে দেখা যেত। বিশেষ করে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর বাসগুলো ফাঁকা অবস্থায় নিদ্দিষ্ট সংখ্যক আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। একসময় সিটের অতিরিক্ত মানুষ দাঁড়িয়ে কর্মস্থলে ছুটত। এখন দেখা মিলছে ভিন্ন চিত্র। আর মেট্রোরেলের প্রভাবে নিজেদের পেশা নিয়ে দিশেহারা বাসের চালক হেলপাররা। কেননা এসব লোকাল বাসে আগের মতো যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়না।
প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় একজন বাস চালকের।বাসের সিট ফাঁকা কেন জানতে চাইলে জানান, মেট্রোরেল চালু করার পর বাসগুলোতে যাত্রীদের সংখ্যা কমে গেছে। এসব রুটে আগে সিট ভর্তি যাত্রী ছিল। বাসে উঠার জন্য যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করত। কিন্তু এখন বাসগুলো একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে করে আমাদের পেশা হুমকিতে পড়েছে। অনেকেই পেশা পরিবর্তনের কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন। দিনশেষে বাস মালিককে জমার টাকা বুঝিয়ে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ছে।
চাকরীজীবি মিসেস রত্না বলেন, প্রতিদিন সকালে বাসে করে যাতায়াত করতাম।কিন্তু যানযটের কারণে কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে পারতাম না। তাছাড়া বাসে ভীড়ের মধ্যে গাদাগাদি করে যাওয়া বিরক্তিকর ব্যাপার। সবদিক বিবেচনায় মেট্রোরেলে যাতায়াত নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। কম খরচে মেট্রোরেলে করে অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানো যায়। এসব কারণে বাসের পরিবর্তে মেট্রোরেলকে প্রাধান্য দিচ্ছি।
যাত্রীরা কনজিউমার নিউজকে জানান, ঢাকা- শহরে ফিটনেসবিহীন বাসের সংখ্যাধিক্য এখন কমে আসবে। এছাড়া যাত্রী সেবার মান উন্নত করতে না পারলে বাস থেকে সাধারন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিবে। এতাদিন যাত্রীদের হাতে বিকল্প ছিলোনা। সুতরা নিরুপায় হয়ে দাড়িয়ে, গাদাগাদি করে কর্মস্থলে পৌছাতে বাসে উঠতে হতো। বাসের সিট ভর্তি হয়ে গেলেও বাসের চালকরা মোড়ে মোড়ে বাস থামিয়ে সময় ক্ষেপন করে। এতে করে যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নিত্য দিনের দুর্বিষহ জীবন যাপনে মেট্রোরেল ছন্দ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মেট্রোরেল নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন যাতায়াত ব্যবস্থায় গতি ও স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে এনেছ। সংগতকারনেই মেট্টোরেলে যাতায়াত করি।
মেট্রোরেলের মাধ্যমে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। যার সুফল সহসাই আমাদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।