দক্ষিণ কোরিয়ার অধ্যাপক Cho Jae-Won একটি যুগান্তকারী টয়লেট তৈরি করেছেন যা মানুষের বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কৃত করে।
প্রতিটি ব্যক্তির দৈনিক ৫০০ গ্রাম মল ৫০লিটার মিথেন গ্যাসে রূপান্তরিত হয়, যা 0.৫ kWh শক্তি উৎপন্ন করে। এই উদ্ভাবনী টয়লেটের ব্যবহারকারীরা “শিট কয়েন” নামে উপযুক্ত একটি ডিজিটালমুদ্রায় পুরস্কৃত হন।
অধ্যাপক Cho Jae-Won এর এই উদ্ভাবনী টয়লেট সিস্টেমটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শক্তি উৎপাদন উভয়কেই লক্ষ্য করে। এখানে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলঃ
১. বর্জ্য থেকে শক্তিতে রূপান্তর
প্রক্রিয়া: টয়লেটটি অ্যানারোবিক ডাইজেশন ব্যবহার করে, যেখানে অণুজীব অক্সিজেন ছাড়া জৈব বর্জ্যকে ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন, renewable energy উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই পদ্ধতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনেও সাহায্য করবে।
২. ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কার
ব্যবহারকারীরা টয়লেট ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল মুদ্রায় (বা টোকেনে) পুরস্কৃত হন, যা টেকসই অভ্যাসগুলিকে উৎসাহিত করবে। এটি সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহী করে তুলবে।
৩. পরিবেশগত প্রভাব
মানব বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে ল্যান্ডফিলের উপর নির্ভরতা কমানো যায়, যা পরিবেশ দূষণ হ্রাস করবে। উৎপন্ন বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়ক হবে।
৪. টেকসই সমাধান
এটি স্যানিটেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশেষ করে যেখানে প্রচলিত বা অপর্যাপ্ত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।
৫. শিক্ষামূলক উদ্যোগ
শিক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে এ ধরনের সিস্টেমের বাস্তবায়ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে কাজ করতে পারে।
লেখক: মুজাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক ও গবেষক