The Stress Of International Students Is Increasing
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়ছে
গোবিন্দবির সিং যখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চাপের কথা বর্ণনা করছিলেন তখন একজন তরুণের মুখ তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আসন্ন সেমিস্টারের টিউশন ফি পরিশোধ না করতে পারা ওই শিক্ষার্থী বলেন, তার বাবা-মা ভারতে তাদের ঘর-বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং তা-ও যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় তিনি বন্ধুদের কাছে অর্থ ধার চান এবং কলেজ থেকে একটি এক্সটেনশন নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি খালসা এইড (Khalsa Aid) কানাডার দ্বারস্থ হন।
মাসে একবার গ্রোসারি ও শীতের কাপড় দিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সহায়তাকারী একটি সংগঠনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিং বলছিলেন, ফোনে আক্ষরিক অর্থেই তিনি কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, আমি সব চেষ্টাই করেছি এবং আপনারাই আমার শেষ ভরসা।
কানাডায় জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বি হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন এটি তার একটিমাত্র উদাহরণ। এ ছাড়া নবাগতদের জন্য এখন কাজ পাওয়াও কঠিন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার পর চ্যালেঞ্জগুলো আরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছে।
২০২৩ সালে কানাডায় অধ্যয়নের জন্য ভিসা পেয়েছিলেন ৯ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী। দশ বছর আগের তুলনায় সংখ্যাটি তিনগুনের বেশি।
স্ট্যান্ডার্ড হাউজিংয়ে বসবাসকারী ও ফুড ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আরও অনেক গল্প অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সাবেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সিং বলেন, কাজ না পাওয়া, উচ্চ টিউশন ফি পরিশোধ এবং কানাডায় জীবনকে মানিয়ে নেওয়ার চাপ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় তাও জানেন না।
সূত্র: দি কানাডা টাইমস